একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে দুজন দুজনকে খুব ভালবাসতো। মাঝে মধ্যে তাদের মাঝে ঝগড়াঝাঁটিও হত। মেয়েটা কোন সময় ছেলেটার ফোন ওয়েটিং পেলে ছেলেটাকে সন্দেহ করতো। ছেলেটা মেয়েটাকে বলতো দেখ, আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তুমি যদি আমাকে অবিশ্বাস কর তাহলে আমাদের ভালবাসা শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাবে। তাই আমি চাইবো আমাদের ভালোবাসা টিকে রাখার জন্য তুমি আমাকে বিশ্বাস করবে এবং আমি তোমাকে বিশ্বাস করবো। কখনোই আমাদের মাঝে যেন অবিশ্বাস জিনিসটা প্রবেশ করতে না পারে। মেয়েটা ছেলেটাকে সময়ে অসময়ে ফোন করতো। ছেলেটা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরতো। ছেলেটা একদিন মেয়েটার সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে নামাজের সময় হয়ে গেল তাই সে মেয়েটিকে বললো আমি তোমাকে দশ পনের মিনিট পর ফোন করছি। মেয়েটা ছেলেটাকে প্রশ্ন করলো কেন! আমার সাথে কথা বলতে তোমার ভাল লাগে না? ছেলেটা তার প্রশ্নের উউত্তরে জবাব দিল ছি ছি তুমি এসব কি বলছো? মেয়েটা আবারো প্রশ্ন করলো তাহলে তুমি আমার সাথে কথা বলছো না কেন? ছেলেটা উত্তরে জবাব দিল দেখ রাগ করিওনা, আমি তোমাকে দশ পনের মিনিট পর আবার ফোন দিচ্ছি। মেয়েটা রাগ করে ফোন লাইন কেটে দিল। ছেলেটা ভাবলো মেয়েটাকে নাকথা বললে সে হয়তো বা বলতে পারে সততা দেখাচ্ছে তাই সে মেয়েটাকে নামাজের কথা বললো না। ছেলেটা নামাজ পড়া শেষ করে মেয়েটাকে ফোন করলো কিন্তু মেয়েটা ফোন বন্ধ করে রেখেছে। ছেলেটা অনেক চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারলো না। মেয়েটা হটাত করে ছেলেটাকে ফোন করলো এবং সে বললো "আমি আগামীকাল তোমার সাথে দেখা করতে চাই" ছেলেটা মেয়েটার কথায় রাজি হয়ে গেল। সকাল থেকে শুরু করে তারা দুজন দুপুর পর্যন্ত ঘুরে তারা দুজনে গিয়ে একটা পার্কে বসলো। এর মধ্যে যহরের আযান দিয়ে দিল। ছেলেটা ভাবলো সে যদি এখন মেয়েটাকে বলে সে নামাজ পড়তে যাবে তাহলে মেয়েটা হয়তোবা ভাবতে পারে ছেলেটা তার সামনে ভাল সাজতে চাচ্ছে বা তাকে দেখানোর জন্য সে নামাজ পরার কথা বলছে। তাই ছেলেটা মেয়েটাকে বললো তুমি বস আমি একটু মসজিদের বাথরুম থেকে আসছি।
ছেলেটা নামাজ পড়তে চলে গেল। নামাজ শেষ করে ছেলেটা যখন মসজিদ থেকে বের হল তখন ছেলেটার সাথে তার চাচাতো বোনের দেখা হল। ছেলেটা তার বোনের সাথে কথা বলছে এমন সময় ঐ মেয়েটার দেরী দেখে সে সামনে এগিয়ে এসে তাদের দুজনের কথা বলা দেখে ফেলে ছেলেটার কাছে এসে খুব খারাপ ভাষায় গালাগালি করে ছেলেটাকে কোন কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল। ছেলেটার চাচাতো বোন তাকে জিজ্ঞেস করলো মেয়েটা কে? আর তোকে এত খারাপ ভাষায় গালাগালি করলো কেন? ছেলেটা তার বোনকে সবকিছুই খুলে বললো। তখন তার বোন তাকে বললো "মেয়েটা তোকে অনেক ভালবাসে তাই সে তোকে হারানোর ভয়ে সবসময় সন্দেহ করে এবং আমার সাথে দেখে সে রাগ করেছে। ছেলেটার বোন বললো "আমি কি মেয়েটাকে বুঝিয়ে বলবো সে যেটা ভাবছে সেটা ভল" ছেলেটা নিষেধ করলো "না থাক ও এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু! কিছুই ঠিক হলো না। মেয়েটা ছেলেটার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল। কিছুদিন পর মেয়েটা বাবার মায়ের দেখা ছেলেকে বিয়ে করে ফেললো। কিন্তু! ভাগ্যের কি পরিহাস দেখুন, মেয়েটা যে ছেলেকে বিয়ে করছে সেই ছেলের বান্ধবী হল সেই নামাজ পরা ছেলেটার চাচাতো বোন। মেয়েটার স্বামী তার নতুন wife কে দেখার জন্য সেই চাচাতো বোন মানে তার বান্ধবীকে দাওয়াত দিল। দাওয়াত খেতে এসে মেয়েটাকে দেখে অবাক!!! চাচাতো বোন মেয়েটাকে সেই মুহূর্তে কিছু না বলে পরে মেয়েটাকে একা ঘরে ডেকে জিজ্ঞেস করলো তুমি আমার ভাইকে এভাবে ধোকা দিলে কেন? মেয়েটা তার কথা শুনে আসমান থেকে পরলো এবং সে বললো আপনার ভাই মানে? হ্যা! ও-তো আমার আপন চাচাতো ভাই মেয়েটা তার কথা শুনে চোখ দিয়ে জলের বন্যা বয়ে দিল।
পরিশেষে চাচাতো বোনটা মেয়েটাকে সেই ছেলেটার সম্পর্কে সবকিছু খুলে বলে তাকে একটা কথা বললো " বোন, তুমি সর্ণ চিনতে ভুল করেছো।। নোটঃ আমার এই লেখাটা কাল্পনিক হলেও আমি এটা লিখেছি বিশ্বাস/অবিশ্বাস নিয়ে। আমরা কোন ব্যক্তিকে I love you শব্দটা খুব সহজেই বলে ফেলি কিন্তু ভালবাসার মানুষটিকে বিশ্বাস করতে পারিনা। আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত, ভালোবাসা কোন ছেলে খেলা জিনিস না যে খেলা শেষে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিলাম। ভালোবাসার মানুষটিকে সন্দেহ করা যাবে না। আর যদি সন্দেহ করেন তাহলে আপনাকে যাচাই করে দেখতে হবে আপনার ভালোবাসার মানুষটি খারাপ না ভালো। যদি কোন কিছু যাচাই না করেই আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে সন্দেহ করেন তাহলে হতে পারে আপনি সত্যি কারের ভালোবাসার মানুষটিকে হারাবেন। তাছাড়া, যেখানে ভালোবাসা বসবাস করে সেখান অবিশ্বাসের কোন স্থান নেই।। নোটঃ এটা ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে।। ------------------------------------Arif Zaman
nice past
ReplyDelete