স্বাগতম, এই সাইট এ আপনি সকল প্রকার মন ভালো করার গল্প কবিতা পাবেন, শুধু তাই নয়! এই সাইট এর মূল উদ্দেশ্য হল গল্প কবিতার মাধ্যমে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো এবং তাদের সকল দুঃখ শেয়ার করা, যাদের মন খারাপ তারা এই সাইট এর কবিতা পড়ুন এবং নিজেকে আধার জীবন থেকে ফিরিয়ে আলোর পথে নিয়ে আসুন।
Wednesday, November 2, 2016
♥কিছু সত্য কথা♥

♥প্রিয় বন্ধুটির মনের কথা বোঝার চেষ্টা কর♥

দুঃখকে আমি ভয় করিনি
দুঃখকে আমি ভয় করিনি মানিনি কখনো হার, হাজার দুঃখ বুকে চেপে জীবন করছি পার। হাজারো দুঃখ কাঁদিয়েছে আমায় তবুও ছারিনি হাল, নয়ন জলে বালিশ ভিজে চোখ হয়ে যায় লাল। মনের দুঃখ মনে চেপে তবুও আমি হাসি, আজো আমি আগের মত তোমায় ভালবাসি।। ----------------------------------Arif Zaman

Tuesday, November 1, 2016
♥প্রথম শিহরণ♥
৭.
ভেবেছিলাম ঢাকায় অনেক মজা হবে। কিন্তু এসে কিছুই ভাল লাগছিল না। বারবার আসার সময়কার ওর মুখটা ভেসে উঠছিল। আসার আগে ও আমার রুমে এসে চুপচাপ কিছুক্ষণ বসে ছিল। হঠাৎ খেয়াল করে দেখি ওর গাল বেয়ে পানির ফোঁটা ঝরে পড়ছে। আমি আশে পাশে কিছু চিন্তা না করেই ওর মুখটা দু’হাত দিয়ে তুলে ধরে ওর ঠোঁটে একটা কিস করলাম। আমার পক্ষ থেকে এই প্রথম ওকে কিস করা। ওকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। একটু পর ই ও নিজেকে শান্ত করে নিল। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে জোর করে একটা হাসি দিল। ভাল ভাবে যেও। আর তাড়াতাড়ি চলে এস। আমি তোমার অপেক্ষায় থাকব।আমি কিছুই বলতে পারলাম না। চুপ করে বসে থাকলাম। একটু পর আম্মু বাইরে থেকে এলে ব্যাগ নিয়ে বের হলাম। ও আম্মুর সাথে আমার পিছনে পিছনে আসতে লাগল। বাস ছাড়া পর্যন্ত তারা দাঁড়িয়েই ছিল। জানালা দিয়ে বারবার ঘাড় ঘুরিয়ে ওকে দেখার চেষ্টা করছিলাম। আস্তে আস্তে ও দৃষ্টির আড়ালে চলে গেল। কেন জানিনা চোখের কোণ বেয়ে এক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। আশা করেছিলাম ঢাকায় এসে নারায়ণগঞ্জ যাব। ক্লাস 6 এ ক্যাডেট কোচিং করার জন্য সেই যে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে টাঙ্গাইল এসেছিলাম আর ফেরা হয় নি। আমার স্কুল জীবনের বন্ধুদের খুব মিস করি। কিন্তু বিধি বাম। ঢাকায় এসে সাত দিন থাকলাম, একটা দিন ও বৃষ্টির জন্য বাইরেই বেরুতে পারলাম না। শুধু মোবাইল কেনাই সার হল, আর কিছুই করা হয়নি। সারাদিন ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে। কি আর করা, ব্যর্থ মনোরথে আবার বাড়িতে ফিরে এলাম।(এখন পর্যন্ত ও আমি নারায়ণগঞ্জ যেতে পারিনি।
বাসায় এসে হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার বাসায় তানিয়াকে আর দেখা যাচ্ছে না কখনো। খুব অবাক লাগল। ওকে জিজ্ঞেস করাতে কিছুই বলল না। শেষে আমার ছোট বোনের কাছে শুনলাম কাহিনী। আমি যেদিন ঢাকা যাই সেদিন আমার এক খালাত বোন আসে আমাদের বাসায়। আমি তার আগমন টের পাইনি। আমার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে সে আমাকে আর তানিয়াকে একসাথে দেখতে পায়। দুর্ভাগ্যক্রমে আমি তখন তানিয়া কে কিস করছিলাম। সে কিছু না বলেই বেড়িয়ে চলে যায় বাসা থেকে। পরবর্তীতে আমি চলে গেলে বাসায় এসে আম্মুকে সব কথা বলে দেয়। আর তারপর আম্মু তানিয়ার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দেয়। তানিয়াও বুঝতে পারে যে কোন একটা সমস্যা হয়েছে, তাই সে আর আমাদের বাসায় আসে না। মনে হল নিজের উপর দিয়ে একটা ঝড় বয়ে গেল। সব শুনে আমি পাথরের মত চুপ করে বসে রইলাম। আগের মত বাইরে বেরাতে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। মাঝে মাঝে আমি ওদের বাসায় যেতাম ঠিক ই কিন্তু ও আর আমার বাসায় আসত না। এদিকে আমার কলেজে যাওয়ার সময় এসে গেল। না বলা এক যন্ত্রণা নিয়ে কলেজে ফিরে গেলাম। এসে কয়েকদিনের মধ্যেই টের পেলাম জীবনে প্রথম বারের মত আমি সত্যি সত্যি কাউকে খুব বেশী ভালবেসে ফেলেছি।
Sunday, October 30, 2016
♥ব্যর্থতা♥

♡আমরা অনেক সময় সত্যি ভালোবাসা চিনতে ভুল করি♡
একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে দুজন দুজনকে খুব ভালবাসতো। মাঝে মধ্যে তাদের মাঝে ঝগড়াঝাঁটিও হত। মেয়েটা কোন সময় ছেলেটার ফোন ওয়েটিং পেলে ছেলেটাকে সন্দেহ করতো। ছেলেটা মেয়েটাকে বলতো দেখ, আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তুমি যদি আমাকে অবিশ্বাস কর তাহলে আমাদের ভালবাসা শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাবে। তাই আমি চাইবো আমাদের ভালোবাসা টিকে রাখার জন্য তুমি আমাকে বিশ্বাস করবে এবং আমি তোমাকে বিশ্বাস করবো। কখনোই আমাদের মাঝে যেন অবিশ্বাস জিনিসটা প্রবেশ করতে না পারে। মেয়েটা ছেলেটাকে সময়ে অসময়ে ফোন করতো। ছেলেটা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরতো। ছেলেটা একদিন মেয়েটার সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে নামাজের সময় হয়ে গেল তাই সে মেয়েটিকে বললো আমি তোমাকে দশ পনের মিনিট পর ফোন করছি। মেয়েটা ছেলেটাকে প্রশ্ন করলো কেন! আমার সাথে কথা বলতে তোমার ভাল লাগে না? ছেলেটা তার প্রশ্নের উউত্তরে জবাব দিল ছি ছি তুমি এসব কি বলছো? মেয়েটা আবারো প্রশ্ন করলো তাহলে তুমি আমার সাথে কথা বলছো না কেন? ছেলেটা উত্তরে জবাব দিল দেখ রাগ করিওনা, আমি তোমাকে দশ পনের মিনিট পর আবার ফোন দিচ্ছি। মেয়েটা রাগ করে ফোন লাইন কেটে দিল। ছেলেটা ভাবলো মেয়েটাকে নাকথা বললে সে হয়তো বা বলতে পারে সততা দেখাচ্ছে তাই সে মেয়েটাকে নামাজের কথা বললো না। ছেলেটা নামাজ পড়া শেষ করে মেয়েটাকে ফোন করলো কিন্তু মেয়েটা ফোন বন্ধ করে রেখেছে। ছেলেটা অনেক চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারলো না। মেয়েটা হটাত করে ছেলেটাকে ফোন করলো এবং সে বললো "আমি আগামীকাল তোমার সাথে দেখা করতে চাই" ছেলেটা মেয়েটার কথায় রাজি হয়ে গেল। সকাল থেকে শুরু করে তারা দুজন দুপুর পর্যন্ত ঘুরে তারা দুজনে গিয়ে একটা পার্কে বসলো। এর মধ্যে যহরের আযান দিয়ে দিল। ছেলেটা ভাবলো সে যদি এখন মেয়েটাকে বলে সে নামাজ পড়তে যাবে তাহলে মেয়েটা হয়তোবা ভাবতে পারে ছেলেটা তার সামনে ভাল সাজতে চাচ্ছে বা তাকে দেখানোর জন্য সে নামাজ পরার কথা বলছে। তাই ছেলেটা মেয়েটাকে বললো তুমি বস আমি একটু মসজিদের বাথরুম থেকে আসছি।
ছেলেটা নামাজ পড়তে চলে গেল। নামাজ শেষ করে ছেলেটা যখন মসজিদ থেকে বের হল তখন ছেলেটার সাথে তার চাচাতো বোনের দেখা হল। ছেলেটা তার বোনের সাথে কথা বলছে এমন সময় ঐ মেয়েটার দেরী দেখে সে সামনে এগিয়ে এসে তাদের দুজনের কথা বলা দেখে ফেলে ছেলেটার কাছে এসে খুব খারাপ ভাষায় গালাগালি করে ছেলেটাকে কোন কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল। ছেলেটার চাচাতো বোন তাকে জিজ্ঞেস করলো মেয়েটা কে? আর তোকে এত খারাপ ভাষায় গালাগালি করলো কেন? ছেলেটা তার বোনকে সবকিছুই খুলে বললো। তখন তার বোন তাকে বললো "মেয়েটা তোকে অনেক ভালবাসে তাই সে তোকে হারানোর ভয়ে সবসময় সন্দেহ করে এবং আমার সাথে দেখে সে রাগ করেছে। ছেলেটার বোন বললো "আমি কি মেয়েটাকে বুঝিয়ে বলবো সে যেটা ভাবছে সেটা ভল" ছেলেটা নিষেধ করলো "না থাক ও এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু! কিছুই ঠিক হলো না। মেয়েটা ছেলেটার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল। কিছুদিন পর মেয়েটা বাবার মায়ের দেখা ছেলেকে বিয়ে করে ফেললো। কিন্তু! ভাগ্যের কি পরিহাস দেখুন, মেয়েটা যে ছেলেকে বিয়ে করছে সেই ছেলের বান্ধবী হল সেই নামাজ পরা ছেলেটার চাচাতো বোন। মেয়েটার স্বামী তার নতুন wife কে দেখার জন্য সেই চাচাতো বোন মানে তার বান্ধবীকে দাওয়াত দিল। দাওয়াত খেতে এসে মেয়েটাকে দেখে অবাক!!! চাচাতো বোন মেয়েটাকে সেই মুহূর্তে কিছু না বলে পরে মেয়েটাকে একা ঘরে ডেকে জিজ্ঞেস করলো তুমি আমার ভাইকে এভাবে ধোকা দিলে কেন? মেয়েটা তার কথা শুনে আসমান থেকে পরলো এবং সে বললো আপনার ভাই মানে? হ্যা! ও-তো আমার আপন চাচাতো ভাই মেয়েটা তার কথা শুনে চোখ দিয়ে জলের বন্যা বয়ে দিল।
পরিশেষে চাচাতো বোনটা মেয়েটাকে সেই ছেলেটার সম্পর্কে সবকিছু খুলে বলে তাকে একটা কথা বললো " বোন, তুমি সর্ণ চিনতে ভুল করেছো।। নোটঃ আমার এই লেখাটা কাল্পনিক হলেও আমি এটা লিখেছি বিশ্বাস/অবিশ্বাস নিয়ে। আমরা কোন ব্যক্তিকে I love you শব্দটা খুব সহজেই বলে ফেলি কিন্তু ভালবাসার মানুষটিকে বিশ্বাস করতে পারিনা। আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত, ভালোবাসা কোন ছেলে খেলা জিনিস না যে খেলা শেষে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিলাম। ভালোবাসার মানুষটিকে সন্দেহ করা যাবে না। আর যদি সন্দেহ করেন তাহলে আপনাকে যাচাই করে দেখতে হবে আপনার ভালোবাসার মানুষটি খারাপ না ভালো। যদি কোন কিছু যাচাই না করেই আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে সন্দেহ করেন তাহলে হতে পারে আপনি সত্যি কারের ভালোবাসার মানুষটিকে হারাবেন। তাছাড়া, যেখানে ভালোবাসা বসবাস করে সেখান অবিশ্বাসের কোন স্থান নেই।। নোটঃ এটা ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে।। ------------------------------------Arif Zaman
বন্ধু

অগোছালো জীবন আমার গুছিয়ে তুমি দিলে
অগোছালো জীবন আমার গুছিয়ে তুমি দিলে, আদর করে ভালবেসে কাছে টেনে নিলে। জীবন আমার শূন্য ছিল ভরিয়ে তুমি দিলে, অনেক বিপদ পেরিয়ে তুমি আমায় কাছে নিলে। আদর করে ভালবেসে বুকে দিয়েছো ঠাই, অনন্তকাল তোমায় বন্ধু ভালবাসতে চাই। তোমার মত আপন মানুষ এই দুনিয়ায় নাই, সারাজীবন বুকে ধরে তোমায় রাখতে চাই।। -----------------------------Arif Zaman

সেই যে চলে গেলে আর তো ফিরে এলেনা

রুপবতি কন্যা তোমার মেঘো কালো চুল

প্রেমের জন্য যুদ্ধে নামলাম

উদাহরণঃ
একজন মানুষ যদি আমার সম্পর্কে অন্য ব্যক্তির নিকট খারাপ মন্তব্য করে আর আমি যদি কোন কিছু না ভেবেই সেই ব্যক্তির উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার সম্পর্কে অন্য ব্যক্তির নিকট খারাপ মন্তব্য করি তাহলে তার আর আমার মধ্যে পার্থক্য থাকলো কি! তাই, তার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য না করে বরং সে, যে ব্যক্তির কাছে আমার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেছে আমি সেই ব্যক্তির কাছে তার সম্পর্কে ভাল মন্তব্য করা হল আমার জন্য উত্তম কাজ। যা, লোকটা বুঝতে পারবে আমি খারাপ না সেই ব্যক্তি খারাপ।। ------------------------------------Arif Zaman

হাসিতে চাহিয়া হাসিতে পারেনা আমার অবুঝ মন
হাসিতে চাহিয়া হাসিতে পারেনা আমার অবুঝ মন, বিশ্বাস ভাঙ্গিয়া দুঃখ দিয়েছে আমার আপন জন। আমার প্রেম করে অন্যকে করেছো সাথী, এখন আমি আধার ঘরে দুঃখের মালা গাথী। আর কতকাল ঝরিবে বলো আমার চোখের পানি, আজো তোমায় ভালোবাসি এটাই আমি জানি। আমাকে তুমি দুঃখ দিয়ে অন্যকে বেসেছো ভালো, আমার জীবন আধার করে, অন্যের ঘরে জ্বালিয়েছো সুখের আলো।। ------------------------------------Arif Zaman

শুনেযা মিষ্টি মেয়ে কোথায় তোর বাড়ি?
শুনেযা মিষ্টি মেয়ে কোথায় তোর বাড়ি? নইলে আমি তোর সাথে করে দিব আরি। বলেযা মিষ্টি মেয়ে কোথায় তোর বাড়ি? তোর জন্য ছেড়েছি আমি আপন ঘর বাড়ি। বলেযা মিষ্টি মেয়ে কোথায় তোর বাড়ি? তোকে বিহীন একা ঘরে থাকতে নাহি পারি। বলেযা মিষ্টি মেয়ে কোথায় তোর বাড়ি? তোর সাথে দিতে চাই সাত সমুদ্র পাড়ি। বলনা......কোথায় তোর বাড়ি??? ---------------------------------Arif Zaman

বন্ধু তোর জন্য ঝরছে দেখ অঝোর বৃষ্টির ধারা

অবুঝ পাখি

মনের ভেতর লুকিয়ে রেখেছি আমার ভালোবাসা

হলুদ শারিতে কন্যা তোমায় লাগে অনেক ভাল

সাগর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছি তোমারি অপেক্ষায়

তোরে যতনো করিয়া
তোরে যতনো করিয়া লুকাইয়া রেখেছিনু বুকেরি ছোট্ট ঘরে, বাহির থেকে তোকে যেন কেউ ছুঁইতে নাহি পারে। নিজের মুখের হাসি টুকু সব দিয়েছিনু তোর মুখে, তোরী মুখে হাসি ফুটিয়ে আমি থাকিতাম দুখে। কখনো ভাবিনি আমায় ফেলিয়া যাবি এভাবে চলে, কি দোষ ছিল মোর তাও জাসনি কিছুই আমায় বলে। যেখানে গিয়েছিস সে-কি তোরে রাখিয়াছে অনেক সুখে? না-কি সুখকে তুই ধরতে গিয়ে আছিস অনেক দুখে? সুখে থাকিস ভাল থাকিস এটাই আমি চাই, শুধু তোরী জন্য সারাজীবন, আমি দোয়া করে যাই।। ---------------------------------Arif Zaman

♡শুধুই তোমার জন্য♡
প্রতিদিন আমি সকাল বেলা দেখি আয়নায় মুখ, তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে লাগে বড়ই সুখ। সকাল যায় সাজিতে আমার বিকেল যায় কাজে, গভীর রাতে ভাবিতে গেলে মরি আমি লাজে। তোমাকে নিয়ে নানান স্বপ্ন দেখি রাতের বেলা, মনের সাথে দুষ্টুর মত কর তুমি খেলা। ঘুমের ঘরে মনে হয় তুমি ধরেছো আমায় চেপে, তোমার স্পর্শে সুখ খুঁজে পাই শরীর উঠে কেপে। ঘুমের ঘরে বিছানা থেকে গরিয়ে নিচে পরি, হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায় লাজে আমি মরি। কবে এসে পূর্ণ করবে আমার মনের আশা? মনে রেখো, ফুলের চেয়েও পবিত্র আমার ভালবাসা।। ------------------------------Arif Zaman

♡দেবেকি আমায় তোমার বুকে একটু খানি ঠাই♡
তোমার পায়ে পা রেখে আমি হাটতে চাই, দেবেকি আমায় তোমার বুকে একটু খানি ঠাই? তোমার কাধে দুহাত রেখে আমি হাটতে চাই, দেবেকি আমায় তোমার বুকে একটু খানি ঠাই? তোমার চোখে চোখ রেখে আমি থাকতে চাই, দেবেকি আমায় তোমার বুকে একটু খানি ঠাই? তোমার কপালে চুমু খেয়ে ভালবাসতে চাই, দেবেকি আমায় তোমার বুকে একটু খানি ঠাই? তোমার সাথে পাশাপাশি বসে গল্প করতে চাই, দেবেকি আমায় তোমার বুকে একটু খানি ঠাই? তোমার বুকে মাথা রেখে আমি ঘুমাতে চাই, দেবেকি আমায় তোমার বুকে একটু খানি ঠাই? আদর সোহাগে তোমার মনটা ভরিয়ে দিতে চাই, দেবেকি আমায় তোমার বুকে একটু খানি ঠাই? সারাজীবন এভাবে তোমায় ভালবাসতে চাই, দেবেকি আমায় তোমার মনে একটু খানি ঠাই? ---------------------------------Arif Zaman

ভালবাসার অভিনয়
ভালবাসার অভিনয় দিয়েছো আমায় আর কতকাল বল দেবে, কাঁদিতে কাঁদিতে দু-চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছে দুখের ভাগ তুমি কি একটু নেবে? তোমাকে ভালবেসে আজকে আমি সর্বহারা হাসতে ভুলেই গিয়েছি, তবুও আমি হাল ছাড়িনি একটু আশা নিয়ে দুঃখকে সাথী করে নিয়েছি। যদিও তুমি ফিরে আর কখনো আসিবেনা জানি, তবুও ছোট ছোট স্বপ্ন গুলো মনের জানালায় উঁকি মেরে দেয় হাত ছানি। তুমি ফিরে আসিবেনা আমি জানি........... -----------------------------Arif Zaman

মাগো আমার আবারো যেতে ইচ্ছে করে
মাগো আমার আবারো যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনে গুলোর কাছে, যেথায় পুকুর পাড়ে নতুন করে পদ্মফুল ফোটে। মাগো আমার আবারো দেখিতে ইচ্ছে করে নিঝুম দ্বীপের কাশফুল, দেখিবার জন্য মনটা হয়ে আছে বেকুল। মাগো এখন আরো বেশি মনে পড়ে সেই দিন গুলোর কথা, কোথায় গেলো সেই দিন গুলো ভাবিতেই লাগে মনে অনেক ব্যথা। ------------------------------Arif Zaman

আবেগ কে কাঁদিয়ে

♥আমার ভালবাসা বুঝলেনা♥
(পাঠ-৪)
আথনুক পরীক্ষার হল থেকে বের হল কিন্তু ছায়া এবং তুষারের দেখা নেই আথনুক ভাবছে হয়তোবা দেরী হচ্ছে তাই সে বাহিরে অপেক্ষা করতে লাগলো, কিছুক্ষণ পরে তুষার ফোন করলো আথনুক ফোন রিসিভ করলো হ্যালো..... তুষার জিজ্ঞেস করলো কিরে তুই কোথায়? আমি তোর জন্য বাহিরে অপেক্ষা করছি, অপেক্ষা কর আমি আসতেছি, ঠিক আছে, তুষার ফোনের লাইন কেটে দিল। এর মধ্যে ছায়াও হল থেকে বেরিয়ে এল, ছায়া আথনুককে জিজ্ঞেস করলো ভাইয়া তুষার কোথায়? কোথায় আছে জানি না তবে সে বলেছে আসতেছে, আথনুক ছায়াকে জিজ্ঞেস করলো তোমার পরীক্ষা কেমন হল? মোটামুটি, ভাইয়া তোমার পরীক্ষা কেমন হল? ভাল বলবো না তবে খারাপ হয়নি। তুষার চলে আসলো আথনুক তুষারকে জিজ্ঞেস করলো কিরে তুষার তুই কখন বের হয়েছিস? অনেক আগেই, আথনুক বললো অনেক ক্ষুধা লেগেছে চল কিছু খেয়ে নেই, চল।
কলেজ থেকে বের হয়ে তিন জনে একটা হোটেলে বসলো আথনুক ছায়াকে জিজ্ঞেস করলো ছায়া তুমি কি খাবে? ভাইয়া তোমরা যেটা খাবে আমার জন্য ওটাই অর্ডার দেও, আথনুক তুষারকে অর্ডার দেওয়ার জন্য পাঠিয়ে দিল। আথনুক ভাবছে আজকে ছায়াকে বাসায় ইনভাইট করলে কেমন হয় তাই সে দেরি না করে ছায়াকে বললো ছায়া চল আমাদের বাসায় যাই? ছায়া আজকেও এরিয়ে গেল, না ভাইয়া আজকে যাবনা আর একদিন যাব, তুমি এর আগেও বলছো আর একদিন যাবে আজকেও একই কথা বলছো আমাদের বাসায় গেলে কোন সমস্যা আছে নাকি? আসলে ভাইয়া আজকে বাড়ি থেকে আমার বড় ভাইয়া আসবে তাই যেতে পারছিনা, তবে কথা দিলাম এর পরে আর না করবোনা, আথনুক আর কিছু বললো না, হঠাৎ ছায়ার ফোন বেজে উঠলো ছায়া একটু দূরে সরে গিয়ে ফোন রিসিভ করে কথা বলছে। আথনুক ভাবছে ছায়াকে এমন কে ফোন করেছে যে আমার সামনে বসে কথা বলা যাবে না, আথনুক ভাবলো আজকে ছায়াকে জিজ্ঞেস করবে সে কার সাথে কথা বলে, ছায়া কথা শেষ করে এসে বসতেই আথনুক ছায়াকে জিজ্ঞেস করলো কে ফোন করেছে Boyfriend? ছায়া ভাবতেই পারে নাই যে আথনুক এই ধরনের প্রশ্ন করবে তাই সে লম্বা একটা শাস নিয়ে বললো না ভাইয়া বাড়ি থেকে ফোন করেছে, আথনুক আর কিছু বললো না কারণ আথনুক বুঝতে পেরেছে ছায়া মিথ্যেকথা বলছে। তুষার অর্ডারের খাবার নিয়ে আসলো, কিছুক্ষণ আগে আথনুকের পেটে অনেক ক্ষুধা ছিল কিন্তু ছায়ার প্রশ্নের উত্তরে আথনুকের পেটের ক্ষুধা নষ্ট হয়ে গেছে, আথনুক কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে অনেক কষ্টে তিন চার চামচ খিচুড়ি খেল, খাওয়া দাওয়া শেষ করে আথনুক বিদায় নিয়ে বাসারউদ্দেশে রওনা দিল। আথনুক প্রতিদিন যখন ছায়ারসাথে দেখা করতে যায় তখন অনেক খুশি থাকে কিন্তু যখন দেখা করে চলে আসে তখন আথনুকের মন খারাপ হয়ে যায়, আজকেও তাই হল যেটা আথনুক একদম পছন্দ করে না, আথনুক নিজের মনকে প্রশ্ন করে আমি যেরকম সবসময়ই ছায়াকেনিয়ে ভাবছি সেকি এরকম আমাকে নিয়ে ভাবে! কিন্তু আথনুক এই প্রশ্নের কোন উত্তর পায়না। দিন চলে যায় রাত আসে কিন্তু আথনুকের ভাবনা শেষ হয়না।এর মধ্যে পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়েছে আথনুক অসুস্থর কারণে কলেজে রেজাল্ট জানার জন্য যেতে পারনি তাই তুষার তাকে ফোন করে বললো দোস্ত আমরা তিনজন টিকে গিয়েছি, আথনুক অসুস্থের কথা শুনে তুষার বললো দোস্ত আমি ছায়া আর তানু তোকে দেখতে আসতেছি, ঠিক আছে আয়। আথনুক অসুস্থ তারপরও সে ছায়ার পছন্দের জিনিস "ফুচকা" কিনতে বাসার নিচে নামলো, আথনুক ছায়ার জন্য ফুচকা আর তানুর জন্য চকলেট এর বক্স কিনে বাসায় এসে দেখে ততক্ষণে তুষার তানু ছায়া তার জন্য অপেক্ষা করছে, তুষার আথনুকের হাতে ফুচকা আর চকলেটের বক্স দেখে রেগে গেল, কিরে আথনুক তুই না অসুস্থ এই অবস্থাই বাসার নিচে নামলি কোন সাহসে? তুই চিন্তা করিস না আমি এখন অনেক ভাল আছি, ছায়া বললো ভাইয়া এগুলো আনার দরকার কি ছিল? আথনুক কথা এগিয়ে গিয়ে বললো তোমরা কখন এসেছো? বিশ মিনিট আগে, আমরা রুগীকে দেখতে এলাম আর রোগী বাজারে এইটা বলে ছায়া হাসতে লাগলো। আথনুক ছায়াকে পুরো বাসা ঘুরে দেখালো, ছায়া আথনুককে জিজ্ঞেস করলো ভাইয়া তুমি সারাদিন বাসায় থাকো তোমার খারাপ লাগেনা? আজোব তো খারাপ লাগবে কেন? না.... এত বড় বাসা অথচ লোক সংখ্যা কম তাই জিজ্ঞেস করলাম, বাসা ছোট হোক আর বড় হোক বাসাতো বাসায় এখানে খারাপ লাগার কিছু নেই, ছায়া কথা ঘুরিয়ে আথনুককে জিজ্ঞেস করলো ভাইয়া আমি ফুচকা পছন্দ করি বলে তুমি আমার জন্য ফুচকা নিয়ে এসেছো তাইনা? আথনুক একটু হতভম্ব হয়ে বললো না..... আসলে আমার জ্বরের মুখে কোন কিছু ভাল লাগছিল না তাই ফুচকা কিনে আনলাম, ভাইয়া তুমি যে মিথ্যা বলছো সেটা তোমার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, হয়েছে এত বেশি বোঝার দরকার নেই এখন নাস্তা খেতে চল। আথনুকের রুমে তুষার ল্যাপটপে ফেসবুকে তার বিথীর সাথে chatting করছে, আথনুক আর ছায়া ঘরে ঢুকতেই তুষার logout হয়ে ফেসবুক থেকে বেরিয়ে এলো, তুষার আর বিথীর Relation সম্পর্কে আথনুক জানে, কিন্তু ছায়া জানেনা আর তুষার ছায়াকে জানাতও চায়না, আথনুক কয়েকবার তুষারকে বলেছিল তার আর বিথীর Relation এর কথা ছায়াকে জানাতে কিন্তু তুষার জানাতে রাজি হয় নাই, তাই আথনুক ছায়াকে কোন কিছু জানায় নাই।
আথনুককে দেখে তুষার বললো দোস্ত আর দেরি করবোনা এখন বাসায় যাব, শোন! খুব বেশি দেরি হয়নি রাতে খেয়ে তারপর সবাই বাসায় যাবি তাছাড়া ছায়া এই প্রথম আমার বাসায় এসেছে না খেয়ে আম্মু যেতে দিবেনা, তুষার আর কিছু বললো না কারণ সে জানে না খেয়ে আথনুক যেতে দিবেনা তাই সে বললো ঠিক আছে। আথনুক বললো ছায়া চল আমি তুষার তানু আহনাফ আর তুমি মিলে ছাদে থেকে ঘুরে আসি, "আহনাফ" আথনুকের ছোট ভাই, তুষার ছাদে যাওয়ার কথা শুনে বললো দোস্ত তোরা যা আমার একটা মেইল করতে হবে তাই আমি যাবো না, আথনুক বুঝতে পেরেছে তুষার বিথীর সাথে chatting করবে, আথনুক আর কিছু না বলে তুষারকে বাসায় রেখে বাকি সবাইকে নিয়ে ছাদে উঠলো, ছায়া আথনুককে বললো ভাইয়া ছাদটা অনেক পরিস্কার, হ্যা, তুমি নিশ্চয়ই প্রতিদিন ছাদে উঠ? প্রতিদিন না তবে মাঝে মাঝে উঠি, এভাবে আথনুক আর ছায়ার মধ্যে সুখ দুঃখের গল্প চলতে থাকলো। খুব শীঘ্রই (পাঠ-৫) পোস্ট করবো।